বাজারে আসার প্রথম সপ্তাহ শেষে এক কোটি ৩০ লাখ ইউনিট আইফোন বিক্রি হয়েছে। আজ সোমবার অ্যাপল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, প্রথম সপ্তাহ শেষে যে পরিমাণ আইফোন ৬ এস ও ৬ এস প্লাস বিক্রি হয়েছে তা আইফোন
বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন একটি রেকর্ড।
এর আগে ২০১৪ সালে প্রথম সপ্তাহ শেষে এক কোটি ইউনিট নতুন আইফোন বিক্রির রেকর্ড গড়েছিল অ্যাপল।
বাজার গবেষকেরা আশা করেছিলেন যে, এ বছরে আইফোন বিক্রি শুরু হওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে এক কোটি ২০ লাখ থেকে এক কোটি ৩০ লাখ ইউনিট বিক্রি করতে পারে অ্যাপল।
অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুর্দান্ত বিক্রি হয়েছে আইফোন ৬ এস ও ৬ এস প্লাস। প্রথম সপ্তাহে আইফোন বিক্রিতে অ্যাপলের সব অতীত রেকর্ড উড়িয়ে দিয়েছে। গ্রাহকের প্রতিক্রিয়াও দুর্দান্ত। তাঁরা থ্রিডি টাচ ও লাইভ ফটোজ ফিচার দুটি পছন্দ করছেন। আমরা ৯ অক্টোবরের পরে বেশ কয়েকটি দেশে নতুন আইফোন বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছি।
২৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বের কয়েকটি দেশে আইফোন বিক্রি শুরু করে অ্যাপল। ৯ সেপ্টেম্বর এর ঘোষণা দিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আগাম ফরমায়েশ নেওয়া শুরু হয়।
নতুন আইফোন সম্পর্কে টিম কুক বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত স্মার্টফোন।’ এই স্মার্টফোনে রয়েছে অ্যাপলের আইওএস ৯ অপারেটিং সিস্টেমে। ফোরকে মানের ভিডিও ধারণ করার জন্য এই ফোনের পেছনে উন্নত আই-সাইট ক্যামেরা যুক্ত করেছে অ্যাপল। ফোরকে ডিসপ্লেতে রেজুলেশন থাকে ৩৮৪০ বাই ২১৬০ যাতে পিক্সেল ঘনত্ব হয় ইঞ্চি প্রতি ৮০৬। গত বছরে বাজারে আসা আইফোন ৬ এ আট মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকলেও নতুন আইফোনের পেছনে ১২ মেগাপিক্সেল ও সামনে পাঁচ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যুক্ত হয়েছে। লাইভ ফটোজ নামের নতুন একটি ফিচারও যুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আইওএস ৯ এ ফিচার হিসেবে রয়েছে ডিজিটাল সহকারী সিরির উন্নত সংস্করণ। এমনকি এটি ব্যাটারির চার্জ বাড়তি এক ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁচাতে পারে।
১৬ জিবি, ৬৪ জিবি ও ১২৮ জিবি এই তিনটি সংস্করণে বাজারে এসেছে নতুন আইফোন। যুক্তরাজ্যের বাজারে ৬ এসের দাম যথাক্রমে ৫৩৯,৬১৯ ও ৬৯৯ পাউন্ড। এস প্লাসের দাম হবে ৬১৯,৬৯৯ ও ৭৮৯ পাউন্ড। নতুন আইফোন দুটির মাপ চার দশমিক সাত ইঞ্চি ও সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি। স্মার্টফোনে ব্যবহৃত হচ্ছে ৬৪ বিটের এ৯ চিপ।
বাজার বিশ্লেষকেদের মতে, অ্যাপলের আয়ের সিংহভাগ আসে আইফোন বিক্রি থেকে। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে বিভিন্ন সংস্করণের চার কোটি ৭৫ লাখ ইউনিট আইফোন বিক্রি হয়েছে।